রবিবার, ১৩ মার্চ, ২০২২

অনিদ্রা ( INSOMNIA) (SLEEPLESSNESS) রোগে হোমিওমতে লক্ষণভিত্তিক চিকিৎসা পদ্ধতি

  

ঔষধ

লক্ষণ

শক্তি

CALCAREA CARB

মেদপুর্ন কালো লোক মাথা ঘামে- টক গন্ধ ঘামে বালিশ ভিজে, শীতকাতর, ডিম খাইবার ইচ্ছা, সামান্য শব্দে জাগিয়া যায়।

30,200 সকালে  বিকালে 

PASSIFLORA

অনিদ্রার কারন না পেলে অন্য ঔষুধে কাজ না হলে।

Q রাতে

RAUWOLFIA

চিন্তা ভাবনা, মানসিক উত্তেজনা বা অন্য কোন কারনে অনিদ্রায়

Q সকালে  রাতে

COFFEA

অনুভূতি প্রবণ, মতলববাজ, শীতকাতর রোগী সারা বিছানায় এপাশ ওপাশ করে। নানা বিষয় চিন্তা করে সারারাত জেগে থাকে।

200

IGNATIA

নির্জনতা প্রিয়, মেজাজ রুক্ষ, শীতকাতর, শোক-দুঃখ পেয়ে, প্রেমে ব্যর্থ অনিদ্রায় ভোগে, 

দীর্ঘ নিঃশ্বাস পেলে, ভয়জনিত অনিদ্রা।

30,200  পুরাতন: 1M, 10M

HYOSEYAMUS

শিশুদের অনিদ্রা, একটু ঘুম আসিলেই লাফাইয়া উঠে। হাত পা কাঁপিয়া চিৎকার তরিয়া কাঁদে।

30, 200

CHINA

তেজষ্কর পদার্থেও অপচয় হেতু দুর্বল রোগীদের অনিদ্রা।

3X, 6  পুরাতন:30, 200

AVENA SATIVA

অতিরিক্ত মানসিক পরিশ্রমে, বীর্য ক্ষয় করিয়া অনিদ্রা।

Q

COCCULUS INDICA

অনেক দিন রাত জাগিয়া অনিদ্রা।

30, 200

KALI PHOS

স্মৃতি শক্তি দুর্বল, বিভিন্ন কারনে অনিদ্রা হলে।

6X, 12X

FERRUM PHOS

ঘুমের জন্য পড়ালেখায় ব্যাঘাত হলে রাতে ব্যবহার।

 3X

 

অর্জীন (বদ হজম) (DYSPEPSIA) রোগে হোমিওমতে লক্ষণভিত্তিক চিকিৎসা পদ্ধতি

ঔষধ

লক্ষণ

শক্তি

ABIES NIGRA

পেটের ভিতর যেন গোলার মত কি পদার্থ

6

ANTIM CRUD

দুধ সাদা জিহ্বা, ভুক্ত খাদ্য দ্রব্য আস্বাদ বিশিষ্ট বায়ু ও তরল পদার্থ উদগীরন।

3X, 6 পুরাতন:200 ,1M

HYDRASTIS

টক বা পচা উদগার।

3X, 6 পুরাতন:200 ,1M

NUX VOMICA

হিংসুটে, ভীষণ রাগী, কলহপ্রিয়, শীতকাতর, মদ্যপায়ী, নেশাখোর, অতিরিক্ত রাত্রি জাগরন, অধিক মসলা যুক্ত খাবার অধিক ভোজন জনিত কারনে খাদ্য ভাল পরিপাক না হয়ে পেট ব্যাথা, মুখে টক জল উঠে।

3X, 6 পুরাতন:200 ,1M

 

CARBO VEG

অন্ধকারে ভুতের ভয়,পাখার বাতাস চায়, শীতকাতর, পরিপাক না হয়ে পেচ ফাঁপে,   বিশেষ করে নিচের পেট, ঢেকুরে আরাম বোধ।

30, 200 পুরাতন:200 ,1M

LYCOPODIUM

গরমে কাতর, পীড়ায় বেশ ক্ষুধা হয়, সামান্য আহারে মনে হয় পেট ভরে গেছে, পেট ফাঁপে, টক ঢেকুর, ভুটভাট করে পেট ডাকে। বিকাল ৪টা থেকে রাত ৮টা রোগ বৃদ্ধি।

6, 30, 200  পুরাতন:1M, 10M

 

 

NATRUM CARB

শীতকাতর, দুধ খাইলে অর্জীন বা উদরাময়। পেট ভার বোধ বায়ু সঞ্চয় হয়ে পেট ফুলে। কখনো কোষ্ঠবদ্ধ, ককনো টক গন্ধ যুক্ত তরল মল, শাকসব্জি পানাহারে রোগ বৃদ্ধি।

6,30 পুরাতন:200 ,1M

 

IPECAC

ঘৃত পক্ক, মাংস, অধিক মিষ্টি, গুরুপাক দ্রব্য আহারে পেট বেদনা, পাতলা পায়খানা, বমি বমি বমিভাব।

3X,6

PULSATILLA

শান্ত, গরম কাতর, চর্বিযুক্ত মাংস, ঘৃত পক্ক দ্রব্য, অধিক মিষ্টি আহারে অর্জীন বা উদরাময় পেট বেদনায়।

3X

MAGNESIA CARB

খিটখিটে, বদমেজাজ, শীতকাতর, মাংস খাবার পছন্দ। দুধ অসহ্য, পেট ফাঁপে, বুক জ্বলে টক ঢেকুর, মুখ টক আস্বাদ, রুটি, আলু, দুধ খেলে পেটে বায়ু জমে, শূল ব্যাথা হয়।

30, 200

CHINA

সমস্ত পেট ফাঁপা, ফল খেলে পেটের অসুখ, খাদ্য হজম না হয়ে আস্ত বা অর্ধ ভাঙ্গা নির্গমন

3X, 6, 30, 200

 

CARICA  PAPAYA

হজম শক্তি দুর্বল, মাংস, ডিম, দুধ, গুরুপাক দ্রব্য হজম হয়না।  চোখহলদে, পেট ফোলা।

Q,  3X

SULPHUR

গরম কাতর, অপরিচ্ছন্ন , পায়ের তলায় জ্বালা শরীরে দুগন্ধ ঘাম। রুটি আলু, ঘৃত প্রভৃতি আহারে পেট ফাঁপে, টক ঢেকুর।

30, 200 পুরাতন:1M, 10M

NATRUM PHOS

টক ঢেকুর, বুক জ্বলে, মুখে টক জল উঠে। হরিদ্রা জিহবা, আহারে পর পেট বেদনা। অম্ল

গন্ধযুক্ত বাহ্যে, অম্ল বমন।

6X, 12X

NATRUM MUR

লবন প্রিয়, তিক্ত ঝাল খাইবার ইচ্ছা। রুটি খেলে অর্জীন, মুখে টক জল উঠে, মাথা ধরে,

পিপাসা।

6X, 12X

CALCAREA PHOS

রক্তহীন দুর্বল জীর্নদের হজম শক্তির দুর্বলতা। আহারে অনিচ্ছা, উদরে বায়ু জমে।

3X, 6X

KALI MUR

তৈলাক্ত উদ্গার, জিহ্বা সাদা বর্নের প্রলেপ।

6X


বায়োকেমিক ১২টি ঔষধ :কোন রোগে ঔষধের কোন ক্রম দিতে হয়




ক্যালকেরিয়া ফ্লোর I Calcarea Fluor (Calcium Fluoride)

(ক) পাকস্থলীর ক্যান্সার পীড়ায় ইহার ৬x শক্তি পুনঃ পুনঃ দিতে হয়।

(খ) শিরা প্রসারণ (ভেরিকোস ভেন) পীড়ায় ইহার ২০০x ব্যবহার্য।

(গ) প্রসূতির স্তনে খুব বেশী দুগ্ধ হইলে ইহার ৬x শক্তি দিবেন।

(ঘ) চোখের ছানির কঠিন অবস্থায় ৩০x দিলেই ভাল।

(ঙ) কিন্তু চোখের পাখনার উপরে জলপূর্ণ অর্বুদ হইলে বা কাঠিন্য হইলে ইহার ৩x শক্তি বিশেষ কার্যকরী।

 

ক্যালকেরিয়া ফস I Calcarea Phos (Calcium Phosphate)

(ক) স্নায়বিক অবসাদ বা স্নায়ুশূল পীড়ায় ইহার ১২x ব্যবহার্য।

(খ) মস্তিস্ক খালি খালি বোধ ( Brain-fag) হইলে ইহার ৬x দিবেন এবং ডিজিনেস পীড়ায় ইহার ১x

   শক্তি আহারের পরপর সেবন করিতে দিবেন।

গ) শিশুদের ব্রহ্মতালু যেখানে জোড় লাগে না সেখানে ইহার ৩০x প্রযোজ্য।

ঘ) শিশুদের দাঁত উঠিবার সময় আক্ষেপ বা তড়কা বা ঐ সময়ে বমি হইলে ইহার ১২x ক্রম দিবেন।

ঙ) তামাক খাওয়ার ইচ্ছা দূর করিতে হইলে ইহার ৫x ক্রমেই কাজ হয়।

চ) হস্তমৈথুন প্রভৃতি নষ্ট করিবার জন্য ইহার ২০০x ক্রমের একটি মাত্রাই যথেষ্ট।

ছ) রজঃলোপ পীড়ায়, স্তন্যদাত্রী মাতার দুগ্ধ বৃদ্ধির জন্য ইহার ৬x শক্তি দিতে হয়। আবার কেহ কেহ   

  বলেন,অন্যদাত্রী মাতার শুনে দুগ্ধ কম হইলে ইহার ৪x শক্তি আহারের সহিত খাইতে দিতে হয়।

জ) রক্তাল্পতা অর্থাৎ এনিমিয়া পীড়ায় ৩x শক্তি খুব ভাল কাজ করে।

ঝ) শারীরিক দুর্বলতায় ৬x শক্তি দিবেন, কিন্তু শারীরিক বৃদ্ধি যদি বন্ধ হইয়া যায়, তাহা হইলে বহু দিবস

  অন্তর অন্তর ২x শক্তি দিতে হয়।

ঞ) শিশুদের ভয় পাইয়া কাঁদার জন্য যেমন ইহার ৩x শক্তি ব্যবহার, তেমনি দুর্বলতায় ৬x এবং ত্রুপ, হুপিং কাশি ও উদরাময়ে ১২x শক্তি দিতে হইবে।

 

ক্যালকেরিয়া সালফ I Calcara Sulph (Calcium Sulphate)

(ক) দন্তমাড়ির স্ফোটকের পুঁজ উৎপত্তি বন্ধ করিতে হইলে ইহার ৩০x দিবেন।

(খ) বৃদ্ধবয়সের স্নায়ুশূল রোগে ১২x ব্যবহার্য।

 

ফেরাম ফস্ I Ferrum Phos (Iron Phosphate)

(ক) দাঁত তুলিবার জন্য রক্তস্রাবে ইহার ৩x শক্তি অমোঘ। তেমনি কাশিবার সময় আপনা হইতেই প্রস্রাব বাহির হইলে ওই ৩x শক্তিই দিতে হইবে।

(খ) বালকদের ব্রঙ্কাইটিসে ৬x, কিন্তু ক্রুপ কাশি বা হুপিং কাশিতে ১২x দিবেন।

(গ) মস্তকে রক্তাধিক্যের জন্য অনিদ্রা হলে ইহার ৩০x শক্তিই আশ্চর্য কাজ করে। কিন্তু অর্শের রক্তাধিক্যের জন্য প্রবল বেদনা ও বসিতে অক্ষম হইলে ইহার ২x শক্তি এক মাত্রাতেই কাজ হইবে।

(ঘ) ক্ষুধা বৃদ্ধি করিতে ফেরাম ফস ১২x অতীব কার্যকরী।

 

ক্যালি মিউর I Kali Mur (Potassium Chloride)

(ক) মধ্যকর্ণের পুরাতন সর্দির জন্য যদি বধিরতা হয়, তবে ইহার ৩x শক্তিই একমাত্র মহৌষধ।  

(খ) ক্রুপ বা কাশিতে ১২x দিতে হইবে।

(গ) একনি বা মুখের বয়োব্রণে, অথবা কামাইবার পর ক্ষুরের দোষে উদ্ভেদ হইলে ইহার ৬x শক্তিই ভাল।

(ঘ) সিফিলিস রোগের দ্বিতীয় অবস্থায় যখন গায়ে চাকা চাকা দাগ বাহির হয়, তখন ইহার ৩x শক্তি এবং আমাশয় রোগেও ৩x বিশেষ কাজ করে।  

(ঙ) শিশুদের যকৃৎ পীড়ায় ১২x অতি চমৎকার।

 

ক্যালি ফস্ I Kali Phos (Potassium Phosphate)

(ক) মাথায় খালি খালি বোধ হইলে (Brain-fag) ইহার ৬xশক্তি দিবেন।

(খ) এ্যামেনোরিয়া অর্থাৎ স্বল্পরজঃ রোগে ইহার ৬x শক্তি বিশেষ কার্য করে।

(গ) প্রসবব্যথা কালে ইহার ৪x শক্তি অতি অদ্ভুত ফল দেয়। কিন্তু অকার্যকরী প্রসবব্যথায় ২x শক্তি পরীক্ষিত।  

(ঘ)রোগীর যখন নাড়ী লোপ হয়, জ্বর কমিয়া যায়, তখন ইহার ২x শক্তি দিলে অদ্ভুত ফল পাইবেন।

(ঙ)হাঁপানি রোগে ইহার ৩x শক্তি ঘন ঘন ব্যবহার করিতে হয়।

 

ক্যালি সালফ I  Kali Sulph (Potassium Sulphate)

(ক) কাশি বা বৈকালে উত্তাপ বৃদ্ধি হইলে ইহার ১২x দিবেন।  

(খ) একজিমা পীড়াতেও ১২x দিতে হয়।

 

ম্যাগনেসিয়া ফস্ I Magnesia Phos (Magnesium Phosphate)

(ক) গলগণ্ড পীড়ায় ম্যাগনেসিয়া ফস ২০০x এক মাত্রা দিতে হইবে।

(খ) পাকস্থলীর দুঃসাধ্য শূলপীড়ায় প্রাতঃস্মরণীয় ডাঃ সামন্তের উপদেশএই ঔষধের ২x শক্তি বহুস্থানে দিয়া কোথাও বিফল হই নাই।  

(গ) প্রস্রাব রোধ হইলে ও হৃৎশূল ইত্যাদিতে ইহার ৬x শক্তি উষ্ণজলসহ ব্যবহার্য।

(ঘ) আক্ষেপিক প্রসবব্যথায় ১x শক্তি পুনঃ পুনঃ দিতে হয়।

(৬) কম্পজ্বরেও ইহার ১২ শক্তি পুনঃ পুনঃ দেওয়া উচিত।

 

নেট্রাম মিউর I Natrum Mur (Sodium Chloride)

(ক) পুরাতন প্রাতঃকালীন শিরঃপীড়ায় ইহার ২০০x ব্যবহার্য।

(খ) নাসিকায় কোমল পলিপস রোগে ৩০x শক্তি দিবেন।

(গ) বহুদিবস স্থায়ী কোষ্ঠবদ্ধতা রোগে ২০০x পরীক্ষিত।

(ঘ) গর্ভাবস্থায় স্তনগ্রন্থি অতিশয় বৃদ্ধি পাইলে ২০০x দিবেন।

(ঙ) ঋতুকালে স্ত্রীলোকের বিষন্নতা রোগ হইলে (মেলানিয়া) ইহার ৩০x শক্তি আরোগ্য করে।

(চ) শীতকালে বৃদ্ধি পায়এইরূপ শ্বাসকাশ পীড়ায় ২০০x ফলপ্রদ।

(ছ) রক্তহীনতা রোগে ১২x ব্যবহার্য।

(জ) চক্ষু উঠিতে থাকিলে ১x দ্বারা ধৌত করা ভাল।

 

নেট্রাম ফস্ I Natrum Phos (Sodium Phosphate)

(ক) সদ্যোজাত শিশুর চক্ষুপ্রদাহে ১২x শক্তি দিতে হয়। কিন্তু স্ক্রুফুলাদুষ্ট চক্ষু-প্রদাহে ইহার ২০০x-ই ফলপ্রদ।

(খ) শূলপীড়ায় ৬x শক্তি দিবেন।

(গ) ক্রিমির জন্য ২x বা ৩x শক্তি ভাল।

(ঘ) চক্ষুতে পিঁচুটি পড়িতে থাকিলে ইহার ৬x দিবেন।

(ঙ) শুক্রতারল্য রোগে ২০০x।

 

নেট্রাম সালফ I Natrum Sulph (Sodium Sulphate)

(ক) সীসশূল পীড়ায় ১x বা ২x বিচুর্ণ পুনঃ পুনঃ সেবন করিতে দিতে হইবে।

(খ) মলত্যাগান্তে মনে আনন্দ উপস্থিত হইলে ৩০x উপযোগী।

(গ) পুরাতন প্রমেহ পীড়ায় ৩x চুর্ণ পুনঃ পুনঃ দিতে হইবে।

(ঘ) অণ্ডকোষে জলসঞ্চয় রোগের পুরাতন অবস্থায় ২০০x উপকারী।

(ঙ) গাউট বা বাত পীড়াতে পিত্তলক্ষণ বর্তমানে ৬x শক্তি দরকার

 

সাইলিসিয়া I Silicea

(ক) সন্যাস (এপোপ্লেক্সি) রোগে ইহার ৩০x অতীব ফলপ্রদ।

(খ) পূঁজ উৎপত্তি করাইবার জন্য ইহার ৬x ব্যবহার্য।

(গ) জলপূর্ণ অবুদে ২০০x দিবেন।

 

শনিবার, ১২ মার্চ, ২০২২

১২টি ধাতব লবণ (বায়োকেমিক ঔষধ): যার অভাবে বিভিন্ন রোগের সৃষ্টি হয়



ক্যালকেরিয়া ফ্লোর I Calcarea Fluor (Calcium Fluoride)

১। হাড়ের উপর কঠিন গ্রন্থিময় স্ফীতি।

২। অস্থি ও দন্তের অপুষ্টতা।

৩। গ্রন্থির বিবৃদ্ধি।

৪। দন্তক্ষয় বা কেরিজ।

৫। গ্রন্থিসমূহের প্রস্তরবৎ কাঠিন্য।

৬। প্লীহা অকৃতাদির প্রস্তাবৎ কাঠিন্য।

৭। ধমনী ও শিরাসমুহের স্ফীতি।

৮। জরায়ুর শিথিলতা, স্থানচ্যুতি ও কাঠিন্য।

৯। জরায়ু হইতে অতিরিক্ত রক্তস্রাব।

১০। উদর প্রাচীরের শিথিলতা অর্থাৎ পেট ঝুলিয়া পড়া।

১১। হার্ড শ্যাঙ্কার।

১২। জিহ্বা, গুহ্যদ্বার, স্তনবৃন্ত ফাটাফাটা।

১৩। গর্ভাবস্থায় কোষ্ঠবদ্ধতা এবং প্রসব বেদনার শিথিলতা।

১৪। শরীরের ত্বক কঠিন ও ফাটাফাটা।

১৫। বৃদ্ধ বয়সে চক্ষুর ছানি।

১৬। স্রাবি ও অস্রাবি দুই প্রকার অর্শ পীড়া।

১৭। কটিবাত অথবা লাম্বাগো পীড়া।

 

ক্যালকেরিয়া ফস I Calcarea Phos (Calcium Phosphate)

১। সর্বাঙ্গীণ অপরিপুষ্টতা ও রিকেট।

২। রক্তাল্পতা, অজীর্ণতা ও ক্রমশঃ ক্ষীণ হওয়া।

৩। শিশুদের দন্তোদগমকালীন পীড়া।

৪। নিউমোনিয়া, মৃগী বা এপিলেপ্সী, হিস্টিরিয়া।

৫। টাইফয়েড জ্বরের তরুণ অবস্থা।

৬। একজিমা, আমবাত প্রভৃতি নানাপ্রকার চর্মপীড়া।

৭। মায়ালজিয়া। পায়ের ডিমের আক্ষেপ।

৮। টিটানি পীড়া। যকৃতের সিরোসিস। শোথ।

৯। মূত্রযন্ত্রের প্রদাহ বা ব্রাইটস্ ডিজিজ।

 

ক্যালকেরিয়া সালফ I Calcara Sulph (Calcium Sulphate)

১। পুজ, রক্তস্রাব।

২। গুহদ্বারের নিকটে ব্রণ বা ফোড়া।

৩। বাগী। কার্বাঙ্কল। গণোরিয়া।

৪। শোথ ও পুরাতন গ্রন্থিস্ফীতি।

৫। নিউমোনিয়ার তৃতীয় অবস্থা।

৬। সিফিলিস, টনসিলাইটিস, স্পারমাটোরিয়া, ইত্যাদি রোগের তৃতীয় অবস্থা।

৭। মাড়ির ক্ষত ও শিশুদের মন্তকের ক্ষত।

 

ফেরাম ফস্ I Ferrum Phos (Iron Phosphate)

১। রক্তাধিক্য, জ্বর ও প্রাদাহিক রোগ।

২। পেশীসমূহের শিথিলতা ও দুর্বলতা।

৩। রক্তাল্পতা, এনিমিয়া, ক্লোরাসিস্ ও লিউকিমিয়া অর্থাৎ রক্তের শ্বেতকণিকা বৃদ্ধি ইত্যাদি।

৪। ক্ষুধামান্দ্য, স্বল্পবুদ্ধি ও নিরুৎসাহ ভাব।

৫। রক্তাধিক্যের জন্য রক্তস্রাব ও বেদনা।

৬। আঘাতজনিত ক্ষত ও কালশিরা দাগ।

৭। দন্ত উত্তোলনজনিত রক্তস্রাব।

৮। ক্রমাগত ভুক্তবস্তু বমন।

৯। পুরিসি, ফুসফুসপ্রদাহ, ব্রঙ্কাইটিস, কাশি ও ক্রুপ, হুপিং কাশি,ইত্যাদি পীড়ায়।

১০। রক্তাধিক্যজনিত অনিদ্রা।

১১। নিউরেসথেনিয়াজনিত অবসন্নতা ও বুক ধড়ফড়ানি।

 

ক্যালি মিউর I Kali Mur (Potassium Chloride)

১। খারাপ গো-বীজে টীকা দেওয়ার পর চর্মপীড়া।

২। প্লেগ ও বসন্ত।

৩। দগ্ধ হইয়া ফোস্কা।

৪। কর্ণের নানাবিধ পীড়া, বিশেষতঃ কানের সর্দি ইত্যাদি দ্বিতীয় বা শেষ অবস্থা।  

৫। ডিপথেরিয়া, আমাশয়, ক্রুপ।

 

ক্যালি ফস্ I Kali Phos (Potassium Phosphate)

১। মানসিক অবসন্নতা, বিরক্তি, উত্তেজনা, ভীতি, অহেতুক ক্রন্দন,স্নায়বিক দুর্বলতা।

২। উদ্বিগ্ন সন্ধিগ্ধ চিত্ত, স্মরণশক্তির হ্রাস, অবসাদ ও মস্তিস্কের কোমলতা।

৩। বেদনা ও পক্ষাঘাত।

৪। অনিদ্রা।

৫। রক্ত ও রসসমূহের পচন ও দুর্গন্ধ।

৬। রক্তকণিকার শীঘ্র শীঘ্র ধ্বংস প্রাপ্তি।

৭। উন্মাদ ও চিত্তবিভ্রম।

৮। টাইফয়েড ও ওলাউঠা।

৯। যে-কোন স্থান হইতে কালচে রক্তস্রাব।

 

ক্যালি সালফ I  Kali Sulph (Potassium Sulphate)

১। প্রদাহের তৃতীয় অবস্থা।

২। বসন্ত, হাম বা যে-কোন চর্মপীড়ায় খুষ্কি উঠা। চর্ম শুষ্ক ও কর্কশ।

৩। সর্বপ্রকার হরিদ্রাবর্ণ পাতলা স্রাব।

৪। শ্বাসযন্ত্রের প্রাদাহিক পীড়ার তৃতীয় অবস্থা।

 

নেট্রাম মিউর I Natrum Mur (Sodium Chloride)

১। শরীরের শীর্ণতা ও অপরিপোষণ।

২। ম্যালেরিয়া ও অতিরিক্ত কুইনাইন সেনজনিত শীর্ণতা।

৩। রিকেটস, টিউবারকুলোসিস ও অপোষণ।

৪। যৌবনাবস্থায় পীড়া।

৫। রক্তাল্পতা, রক্তের শ্বেতকণিকা বা জলীয়াংশ বৃদ্ধি।

৬। শিরঃশূল ও পাকস্থলীর শূলবেদনা।

৭। জলবৎ শ্লেষ্মা বমন।

৮। চক্ষুর শূলবৎ বেদনা।

৯। বহু দিবস স্থায়ী কোষ্ঠবদ্ধতা।

১০। বড় ও ছোট ক্রিমি, তৎসহ মুখ দিয়া জল উঠা।

১১। শ্বাস-কাশ, পীড়া যাহা শীতকালে বৃদ্ধি পায়।

১২। হুপিং কাশি পীড়া; যখন থুতুর মত শ্লেষ্ম নির্গত হয় ও চক্ষু দিয়া জল পড়ে।

১৩। অতি বৃহৎ গলগণ্ড।

১৪। হাঁটুতে হারপিজ বা চর্ম পীড়া।

১৫। স্নায়ুশূল, রাগ বা উদ্বেগের পর পক্ষাঘাত, ভয় পাইয়া কোরিয়া বা তাণ্ডবরোগ।

১৬। জল বসন্ত।

১৭। নিঃসৃত পদার্থ (কফ ইত্যাদি) জলবৎ তরল অথবা বার্লি সিদ্ধর মত।

১৮। একশিরা বা অণ্ডকোষে জল সঞ্চয়।

১৯। বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের শিরঃপীড়া; বিশেষতঃ মস্তকের সম্মুখভাগে (কপালে) মাথায় খুক্তি, ছানি,  

   জরঠুঁটা,ঠোঁটের উপর ফুস্কুড়ি, হাতের তালুতে আঁচিল, কড়া, ইত্যাদি রোগ।

 

নেট্রাম ফস্ I Natrum Phos (Sodium Phosphate)

১। অম্নজনিত পীড়া, বাত, অজীর্ণ ইত্যাদি।

২। অম্নবমন, শিরঃপীড়া, অম্লশূল ইত্যাদি।

৩। গোড়ালি সন্ধিতে একজিমার ন্যায় চুলকানি।

৪। শিরঃপীড়া, বমনোদ্বেগ, দৃষ্টিশক্তির ক্ষীণতা।

৫। সদ্যপ্রসূত শিশুর চক্ষু-প্রদাহ।

৬। দৃষ্টিশক্তির হীনতা, চক্ষের সামনে যেন জোনাকী পোকার ন্যায় উজ্জ্বল আলো দেখা যায়।

৭। তৈলাক্ত দ্রব্য ভক্ষণের পর অজীর্ণ পীড়া।

৮। কামলা বা জণ্ডিস।

৯। যকৃৎ দোষের জন্য বহুমূত্র পীড়া।

১০। প্রমেহ পীড়া।

১১। বন্ধ্যাত্ব।

 

নেট্রাম সালফ I Natrum Sulph (Sodium Sulphate)

১। শ্লেষাধিক্য ধাতু।

২। পুরাতন প্রমেহ পীড়ায় গাঢ় হরিদ্রাভ বা সবুজ-হরিদ্রাভ স্রাব।

৩। বহুমূত্র, পিত্তবমন, পিত্তজ্বর।

৪। জরায়ু হইতে অতিরিক্ত রক্তস্রাব।

৫। ম্যালেরিয়া, কামলা, জিহ্বায় তিক্ত আহাদ, মুখেও তিক্ত আস্বাদ।

৬। শর্করাযুক্ত বহুমূত্র পীড়া।

৭। শোথ, দক্ত।

৮। শ্বাস-কাশ, মস্তিষ্কে আঘাত, আঁচিল, ইনফ্লুয়েঞ্জা, লিউকোরিয়া ইত্যাদি।

 

ম্যাগনেসিয়া ফস্ I Magnesia Phos (Magnesium Phosphate)

১। যে-কোন প্রকার শূলবেদনা বা আক্ষেপ।

২। খিচুনি, ধনুষ্টঙ্কার, মৃগী, আক্ষেপিক মূত্রবন্ধ ইত্যাদি।

৩। কোরিয়া, শিরঃপীড়া, দন্তশূল ইত্যাদি।

৪। ক্যান্সার পীড়া।

৫। ঋতুশূল, কষ্টরজঃ।

৬। আক্ষেপিক কাশি, হৃৎশূল।

৭। ক্যাথিটার দিবার সময় অথবা পরে মূলীর আক্ষেপ।

 

সাইলিসিয়া I Silicea

১। নালীক্ষত।

২। পায়ের ঘর্ম বন্ধ হইয়া ছানি, শিরঃশূল।

৩। পুরাতন অজীর্ণ রোগ।

৪। নৈশ-ঘর্ম, স্বরভঙ্গ, আঙ্গুলহাড়া, গ্রন্থির বিকৃদ্ধি।

৫। মূত্র পাথরী।

৬। বৃদ্ধ বয়সে বহিঃকর্ণের শুষ্কতা বৃদ্ধি হইয়া শ্রবণশক্তির হ্রাস।

 

অনিদ্রা ( INSOMNIA) (SLEEPLESSNESS) রোগে হোমিওমতে লক্ষণভিত্তিক চিকিৎসা পদ্ধতি

    ঔষধ লক্ষণ শক্তি CALCAREA CARB মেদপুর্ন কালো লোক মাথা ঘামে- টক গন্ধ ঘামে বালিশ ভিজে, ...